ডিসেম্বর-২০১২
- রেজাউর লাল সবুজের পতাকার তরে, চলে গেছে বহু প্রাণ। শপথ নিয়ে এগিয়ে যাবো; রাখবো দেশের মান। হানাহানি ভূলে দেশের জন্য, করে যাবো মোরা কাজ। সংসদ ভবনের নীচে আছে, লাখো শহীদের লাশ। দেশের মাটি,সংসদ ভবন, জানো কেন এত শক্ত? প্রতিটা কণাতে মিশে আছে, আমার ভাই এর রক্ত। বিজয় দিবসে দৃঢ প্রতিজ্ঞা, থাকবো ন্যায়ের সাথে। আর কোন রক্ত দেখতে চাই না, বাংলার রাজপথে। দায়িত্ব - মাহবুব আলী রচনা কাল - ফেব্রুয়ারী ১৯৮৯ আমি আর্মেনিয়ার ভূমিকম্প দেখিনি কিন্তু খবর শুনেছি; টিভিতে দেখেছি এবং কাগজেও কিছু পড়েছি আমি হিরশিমার ইতিহাস পড়েছি কিন্তু ঘটনা ঘটতে দেখিনি। আমি অন্য কোন রাষ্ট্র দেখিনি কিন্তু বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা এবং বীভৎসতার কিছু কথা শুনেছি; যা শুধু অস্থিরতাকেই বাড়িয়ে তোলে বহুগুণ! এবং ফলাফল বরাবরই খারাবের দিকেই ধাবিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রায়শই শোনা যায় নূতন মারণাস্ত্রের নাম, যা শুধু ধ্বংসই বয়ে আনতে পারে। মানুষ তো মানুষেরই জন্য! দুর্বলের পাশে দাঁড়িয়ে সবল তাকে সাহায্য করবে সর্বতোভাবে এইতো বিধান সকল ধর্মের! যেখানে অগণিত মানুষ অনাহারে এবং বিনা চিকিৎসায় মরছে প্রতিদিন, অথচ আশে পাশেই অপব্যয় এবং অহেতুক উল্লাস চলে সমান তালে। বিশ্বের বিবেকবানদের কাছে আমার দাবি – তোমরা একটু ভাব তাদের জন্য যারা অভুক্ত, অসুস্থ্য এবং গৃহহীন। মানুষের বিপদের বন্ধু হয়ে সবার অন্তরের মনিকোঠায় নিজের ঠাই করে নাও এবং মানব জনম সার্থক কর! এত বিপুল ঐশ্বয্য কি মরণ থেকে তোমাকে রুখতে পারবে? তোমার মৃত্যু হলে ফেলে যাওয়া সম্পদ এবং অগণিত অনুচরেরা তোমার কতটুকু কাজে আসবে সেটা ভাবা দরকার। মানুষকে আত্মীয় এবং পরম বন্ধু বলে গ্রহন করলে দেখবে – পৃথিবীটা সুন্দর আবাস্থলে অবশ্যই পরিণত হবে। |
খড়ির ভাগ্য
- সাইদুর রহমান
বাড়িতে আগে দেখেনি তাকে, সে কেগো মা, জিজ্ঞাসি মাকে। এ কি, মানুষের নাম, ‘খড়ি’ ? তোর কি তাতে, জ্বালায় মরি। মা যে বিরক্ত, করি প্রস্থান, ভাবি, আমারই নেই জ্ঞান। চাঁদ দেখি, বসি জানালেতে, মা পাঠালে দুধ, খড়ির হাতে। খাবে এ তুমি, বলি আমি হেসে, মুখখানি তার. হলো ফ্যাকাসে। জোর করে যে খাইয়েছি কিছু, খড়ি তাকায়, বার বার পিছু। পড়া করে কচিরা, দিই উঁকি, দিদি করেন যে তদারকি; খড়িও আছে বসি, ঐ কোণে, কার কি লাগে, ওই তো আনে। খড়িও পড়ুক , সেও তো কচি, দিদির সে আঁখি, পালালে বাঁচি। পুতুলের বিয়ে, আজ বিকেলে, নিমন্ত্রণ পেয়ে, এলাম চলে। খড়ি নেই, খুঁজে পাই শেষে, রান্না ঘরে বসে, মা’র রোষে। খড়িকে ছাড় মা, আজ বিয়ে, মা’র শান্তি, মোর কান মলে। পরিবেশ যেন হলো থমথম, খড়ির হাসি, দেখি এই প্রথম; খুকু বলে, মোর কানে কানে. বক মোরে, দাদুকে না কেনে ? বিত্তের এক গাড়ির কত যে সেবা, কচি সোনা খড়ির মূল্য দিল কেবা। |
আজকে ঈদের দিন
- জেবাউল নকিব অপেক্ষার প্রহর শেষ হল ঈদগাহে যাই এবার চল, রুম ঝুমা ঝুম ঝুম লাগছে কেন ঘুম ঘুম? ঘুম গেলতো চলবেনা অলস ছেলে হবনা । নাই কোন আজ প্রকারভেদ ধনী গরিব নাই ভেদা-বেদ, থাকবো সবে কষ্টহীন আজকে ঈদের দিন । কোরবানি হোক পরি-শুদ্ধ মনে থাক ঈমান, আত্তত্যগের মহিমায় দিব আমরা প্রমান । আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় আমরা মোসলমান । কবিতা ও স্বপ্ন - কবীর হুমায়ূন কবিতার মাঝে স্বপ্নরা আর বিস্তার করে না, কবিতা এখন জঠর জ্বালার কান্না হয়ে আসে; ভালোবাসা-ফুল ক্রমশঃ এখন বিবর্ণ হয়ে যায়, সমাজ-চাতালে খুন আর জখম অহরহ হাসে। বিশ্বাসের চাদর বিসারিলে মানুষের সমাজে, বোকা ভেবে সবে চতুর হাসিতে পড়ে লোটে; ভালো মানুষেরা সর্ব পিছনে রহে যে দাঁড়ায়ে, কবিতারা এখন স্বপ্ন ছাড়া ধুসরতায় ফোঁটে। আমরা এখন ক্রান্তিলগ্নে বসবাস করি হায়! মিথ্যারা সব সত্যের উপর শাসন করে যায়; অস্ত্রের কাছে জ্ঞানের কথা সদাই ম্রিয়মান, সত্যের কাছে হয় নাকো জীবনের অবস্থান। কে তুমি ?- বিভূতী দাস দৃষ্টির অগোচরে থাকি সদা হাসো মিটি মিটি, দেখি নাই কায়া তব মায়া-ছায়া - অনুভব-ও, খেলিছ লয়ে আকিঞ্চনে অহ-রহ ভাঙ্গিছ - গড়িছ করিছ প্রলয় -ও-সৃ্ষ্টি ।। ইহকাল - পর-কাল লয়ে করতলে, করিছ নৃত্য ওগো মহাকাল চালিছ পাশা - সুনিপন চালে, সাধ্যি কার, বোঝে অভিলাষ কি লিখিছ -কার ভালে ।। বলো কোন নক্ষএ মাঝে বসি, হাসিছ অট্ট -হাসি... দেখিয়া কর্ম , যাগ, যজ্ঞ, ধর্মা-ধর্ম সাধু - শয়তানের কারসাজি ।। কেহ খুঁজে ফেরে - একটুকু বাসা, কেহ খুঁটে খায় অন্ন, কেহ বা প্রাসাদে বোসে নাম-গান করে-আজান পড়ে, কেহ করে শুধু অনন্ত প্রশ্ন ।। চোখের জলে কাহারও বা ভেসে যায় বুক, সব দেখে - কেহ বা রয় নির্বাক-মূখ, দুচোখে দ্যাখে কেহ বা স্ব্প্ন অসীম, কাহারও আশা মাথা কুটে মরে, প্রাণ হীন নিস্ফল পাথরে । কেহ বা ছ্ড়ায় অঞ্জলি ভরে ফুল, কেহ বা চ্ড়ায় শিরনি, পথ হারিয়ে কেহ খুঁজে ফেরে কূল ।। ছোট্ট যে পাখি - তাকেও দিয়েছ প্রাণ, গান গেয়ে যায় অসীমের মাঝে আপন খেয়ালে - দু পাখা মেলে, না চেয়েই কোনো প্রতিদান ।। বল, কোন সে ইচ্ছা যোগে, ভাসাইছ ইহলোকে পুরাইতে বাসনা-কামনারে কোরে সাথে, ধনী - নির্ধন - সাধু - শয়তান, জড়- ষড় - ষণ্ড - ভন্ড, চলিছে সবাই - পথ না জেনে এওকি তবে - তোমারই নিদান ? অনন্ত পথের ও-পারে কি আছে ভাবনায় পড়েনা ধরা, নিয়ম মেনে হয় কি সকাল-সন্ধ্যা না-কি কেবলই আঁধার ভরা ।। দু-হাত তুলে ওপরের পানে নানা সুরে আকুতি জানায়, কি তার অর্থ - কি-বা ফল তার কে যোগায় প্রেরণা - প্রতিটি প্রাণে ? বুক ভরা হাসি নিয়ে ফোটে কতো ফুল , জানে কি ওরা ঝরে যেতে হবে বিলায়ে নিজেরে অন্যের ত্বরে মিলিবেনা - কোন কুল ।। বলো, কেমন কোরে করিছ হিসাব কোথা হোতে আসে শক্তি এতো, কোন মেঘ পুঞ্জের- আড়ালে থাকি করিছ কর্ম - অনন্ত-কাল - অবিরত ।। ঘুড়ির মতো - কয়েছ আহমদ ঘুড়ির মতো খোঁজি আমি, সারা আকাশ জোড়ি, ক্ষনে উড়ি পূর্ব গগনে ক্ষনে পশ্চিম দিগন্তে। বুক ভরা আশা পাব তোমায়, পূর্ব বা ঐ পশ্চিম সিমান্তে। মেঘ ভেঙ্গে তারও উপরে, ঘুরি বৃত্তাকারে। নাজানি তুমি থাক কতো দূরে, মনে আরস পুরে। যাই সেথায় কেমন করে? বুকে যে বাধা দড়ি। নাটাইর সুতায় জীবন বাধা শক্তি নাই মোর ছিড়িব তা, যদি পাই একটু দয়া, দেখা করব সেথায় গিয়া, ফিরব না আর কোন দিন। তারপর - রেজাউর নিরম্তর ছুটে চলে অবিরত কথা বলে নতুন যুগের জটিল সব তত্ত্ব, ভেবেছে সে এ আর এমন কি! বিশ্ব জয়ের নেশায় হয়েছে মত্ত, E=mc^2 সূত্র তাকে নিয়ে গেছে, দূর থেকে বহু দূরে। যেতে যেতে হঠাৎ থেমে যায়, মহাবিজ্ঞানির যাত্রা। কোথায় যেন অমিল! কারো সাথে নেই যোগসূত্র, অনুভবে অদৃশ্য মহাশক্তি, নেই তার কোন মাত্রা। ফিরে পায় নতুন চেতনা, শুরু হয় আবার যাত্রা। তবে বিশ্ব জয়ের নয়, নিজেকে খুজে পাওয়ার , এ এক মহাউম্মাদনা। হৃদয়পটে ভেসে উঠে, E=mc^2 সূত্র এর রহস্য; আনন্দে আত্মহারা মহাবিজ্ঞানি, বিশ্বকে জানাবে বলে; হাতে তুলে নেয় কলম, দেশ-কালের নির্মম পরিহাস! ঠোট দু’টি কেঁপে উঠে, কলমটা পরে পাশে, তারপর......!!!! চলে যাবো ছুটে - রেজাউর আকাশ পানে চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত আমি অবশ দেহে, বলো মা তুমি কোথায় আছো কোন তারকার মাঝে? রাগ করেছো আমার প’রে আমি যে তোমার দুষ্টু ছেলে, জানো কি তুমি আগের মত নেইকো আমি অধম, সবাইকে ছেড়ে ক্লাসে আমি হয়েছি এবার প্রথম, তবুও বাবা হয়নি খুশি নেইনি তুলে কোলে, একা একা ড্রয়িং রুমে বুক ভেসে যায় জলে, খালামনি আদর করে ডাকে না আর কাছে, একা ঘরে আমায় রেখে বাবার কাছেই থাকে, একলা বেডে এপাশ ওপাশ ঘুমে আসে না মোটে, ভাবি আমি তোমার কাছে চলে যাবো ছুটে।। তারপর - রেজাউর নিরম্তর ছুটে চলে অবিরত কথা বলে নতুন যুগের জটিল সব তত্ত্ব, ভেবেছে সে এ আর এমন কি! বিশ্ব জয়ের নেশায় হয়েছে মত্ত, E=mc^2 সূত্র তাকে নিয়ে গেছে, দূর থেকে বহু দূরে। যেতে যেতে হঠাৎ থেমে যায়, মহাবিজ্ঞানির যাত্রা। কোথায় যেন অমিল! কারো সাথে নেই যোগসূত্র, অনুভবে অদৃশ্য মহাশক্তি, নেই তার কোন মাত্রা। ফিরে পায় নতুন চেতনা, শুরু হয় আবার যাত্রা। তবে বিশ্ব জয়ের নয়, নিজেকে খুজে পাওয়ার , এ এক মহাউম্মাদনা। হৃদয়পটে ভেসে উঠে, E=mc^2 সূত্র এর রহস্য; আনন্দে আত্মহারা মহাবিজ্ঞানি, বিশ্বকে জানাবে বলে; হাতে তুলে নেয় কলম, দেশ-কালের নির্মম পরিহাস! ঠোট দু’টি কেঁপে উঠে, কলমটা পরে পাশে, তারপর......!!!! ভালো -রেজাউর রহমান সত্য কথা বলা ভালো সত্য পথে চলা ভালো গনতন্ত্র চর্চা ভালো দেশ দরদী নেতা ভালো হাসি মূখে চলা ভালো নীচু স্বরে কথা ভালো লেখাপড়া করা ভালো মায়ের আদেশ শোনা ভালো হিংসা-দ্বেষ ভোলা ভালো মিলেমিশে চলা ভালো ধর্ম ভালো ধার্মিক ভালো ন্যায়-নীতিবান শাসক ভালো জ্ঞানী-গুণী মানুষ ভালো জ্ঞানের জন্য ভ্রমন ভালো দ্বীন দুঃখীদের সেবা ভালো রোগ নিরাময় ঔষধ ভালো আসলে ভাই সেইতো ভালো লোকে যারে বলে ভালো। বাংলাদেশ - রেজাউর বাংলাদেশের সোনার মানুষ সোনা ফলাই মাঠে, কলসী কাঁখে গ্রাম্য বধু যায় না আর ঘাটে, ধুম ধুমা ধুম বাজনা বাজে যায় না শোনা গান, তবু শুনি সকাল বিকাল পাখির কলতান, বৈশাখ আসে রাজধানিতে পান্তা ইলিশ খায়, পান্তা জোটে কৃষক ভায়ের ইলিশ কি সে পাই? রিমঝিম বৃষ্টি পরে আষা্ঢ শ্রাবন মাসে, পাকা রোডে গর্ত দেখে হুতুম পেচা হাসে, ভাদ্র মাস আসে যায় কোথায় পাকা তাল? তাল না পেলে দুঃখ কিসের পাচ্ছি তো হরতাল, কবি মন ভালো লাগে স্বাধীন আমার দেশ, এ দেশেতে জম্ম নিয়ে ধন্য আমি বেশ, তবু বলি দেশটা ভালো একটু খানি বাদে, নেতারা যে মিথ্যা বলে মরছি তাই লাজে, এ অবস্থা থাকবে না আশায় বাধি বুক, বাংলাদেশের সোনার মানুষ ফিরে পাবে সুখ।। পতাকা - রেজাউর ছোট্ট একটা গণ্প বলি শোন গল্প নয় রূপকথা নয় কোন, শ্যামল গাঁয়ের একটি ছেলে কামাল প্রাণের বন্ধু নাম ছিল তার জামাল, দু’জন মিলে কাটতো তাদের দিন কিন্তু কামাল কেন যেন হলো উদাসিন, হঠৎ করে রাতের বেলা হারিয়ে গেল কামাল সারাটা দিন হন্যে হয়ে খুজে ফেরে জামাল, দিনের পরে দিন ফুরালো মাসের পরে মাস ক্লান্ত জামাল দেখলো সেদিন পুকুর পাড়ে লাশ, কোথায় ছিল কেমন করে আসলো পুকুর পাড়ে? লাল সবুজের পতাকাটা সবার নজর কাড়ে।। জোছনার জলে পবিত্রতা - অনুভব বিস্তীর্ণ পথ খোলা অম্বর একাকী পথে হাঁটি আমি নিরন্তর পরিচয়হীনার পরিচয়-ই পরিপুরক নামান্তর। আকাশে ভাসমান মেঘের ভেলা বলে আমায় ফিরে যাও খেয়ালি চাঁদ উঁকি মারে বলতে চায় একটু দাড়াও। ঘোলাটে আঁধারে সোডিয়াম আলো লাগে বড় নিষ্প্রাণ থেমে থাকে দূরে হাতছানির খোঁজে সময়ের অভিযান। নিকশ নীরবতা জানান দেয় রাতের প্রাপ্তি পথের রুদ্রতায় ভেসে উঠে অলস দীপ্তি। পথরোধে সব ঐকতান তবু আমি চলি এগিয়ে পথের শেষ প্রান্তে যাবো বলে, জোছনার জলে স্নান করি পবিত্র হওয়ার লোভে। মহাভাবনা -রেজাউর রহমান শীত গেল শীত গেল শীত গেল গেলরে কোকিলের কুহুতান কানে ভেসে এলোরে, ফুলের সৌরভ যত ছড়ায়ে গেলরে ভ্রমরের গুন্জন কানে ভেসে এলোরে, দু‘কুল কাশবন ফুলে ফুলে সাদারে সারিবাধা হাসগুলো জলে ভেসে গেলরে, পাল তোলা নৌকা দুরে ভেসে চলেরে নদীর কলতান কানে ভেসে এলোরে, বাসন্তী রং শাড়ী পরে টিন-এজার চলেরে দূর হতে তা দেখে যুবকেরা হাসেরে, শীতে আমেজ নাই নাচতেছে মনরে গ্রীষ্মের আগমণ কান পেতে শোনরে, যেভাবে শীত গেল দিয়ে সবে ফাকিরে বসন্ত চলে যাবে সদা বসে ভাবিরে। মনজাল -রেজাউর রহমান আকাশের দিকে চেয়ে বিশালতার বিম্দু হীদয়ের মঝে দেখি। সবুজের দিকে চেয়ে জীবনের রশ্মি অনন্তর ছুটে চলে। সৃষ্টিকে দেখি দৃষ্টি মেলে ফিরে ফিরে আসে আখি। প্রার্থনায় রত ভাবছে মনে আসবে কখন প্রভূর ই-মেল। প্রহর গুনে গুনে ক্লান্ত সে চিন্তিত মন সমস্যা আছে নেটে।। What is good -by Rezaur Rahman The truth is good, The truth is a good way to go. Democracy is a good practice, Mercifully, is a good leader. Violence is best forgotten, I have the concert. Religion is good, Religious is a good, Is a righteous ruler. Intellectuals are the best, Traveling is good for knowledge. Patients with the best service, What is the best, People say the best. Shopno - Sudip Tantubay Din chole galo,shanda namlo pradip uthlo jole, Rupkhota joto shonar ashai Jai tammar kole. Tamma bole boro hoyachis porchis college a, baccher moto ar ki tor golpo sona saje ! Kichu na bole chupchap ami bosi anginar maje, mone pore jai purano shriti notun notun saje. Gumer maje chute jai ami harano chelebalai, shopne shopne rat kete jai kanna hasir kelai. Vasha jai koto sharater meg 'dakche amai ke ?' ke gum parani sura bole- 'vor hoyache je !' Uthai ami make sudhai hoya je shopno hara, -'mago, diya gache ke paperowala ai masher 'Suktara' ? |
টাকা
-রেজাউর টাকা আনে মান সম্মান টাকা তোলে জাতে, টাকার জোরে নমিনী হয় নির্বাচনে মাতে, খুন-খারাবী যতই করো টাকা ছাড়লে মাফ, থাকলে টাকা সবাই তারে বলে বাপরে বাপ, পাহাড় সম টাকা তাদের নেইকো তবু হুষ, টাকার জন্য ব্যস্ত তারা খেয়ে যাচ্ছে ঘুষ, কত টাকা হলে তাদের হবে স্বর্গবাস? কত দিন আর চলবে এমন জাতির সর্বনাশ? দিনে দিনে দিন ফুরালো থাকবো না আর চুপ, প্রয়োজনে দেশ বাচাতে পেতে দেবো বুক, লাল-সবুজের শপথ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, স্বাধীনতার সুফল তখন ফিরে পাবে তবে। টাকার মন - বিভূতী দাস মন তুমি কার ? টাকার-না- মনের ? টাকার গতিই কি তোমার গতি? নিজেকে বিলিয়েছ টাকার ফাঁন্দে, মনকেই দিলে অনেক ফাঁকি ।। টাকায় চলে সব কিছু - টাকাটাই মন, টাকা ছাড়া মনে আসেনা আলোড়ন।। স্ব্প্ন ? সেতো টাকারই যাদু জীবনে টাকাই সব - টাকাই মধু ।। সৃ্ষ্টি ? সেতো টাকার গোলাম, প্রকৃ্তির তাই নেইতো দাম, টাকা ছাড়া হয় না বুঝি ভালোবাসা, জীবন যুদ্ধে তাই হেরে গেলাম ।। জীবনের সাইন বোর্ডে - নেই ভালোবাসা, লেখা আছে শুধুই টাকা-টাকা-টাকা ...।। তারপর - রেজাউর নিরম্তর ছুটে চলে অবিরত কথা বলে নতুন যুগের জটিল সব তত্ত্ব, ভেবেছে সে এ আর এমন কি! বিশ্ব জয়ের নেশায় হয়েছে মত্ত, E=mc^2 সূত্র তাকে নিয়ে গেছে, দূর থেকে বহু দূরে। যেতে যেতে হঠাৎ থেমে যায়, মহাবিজ্ঞানির যাত্রা। কোথায় যেন অমিল! কারো সাথে নেই যোগসূত্র, অনুভবে অদৃশ্য মহাশক্তি, নেই তার কোন মাত্রা। ফিরে পায় নতুন চেতনা, শুরু হয় আবার যাত্রা। তবে বিশ্ব জয়ের নয়, নিজেকে খুজে পাওয়ার , এ এক মহাউম্মাদনা। হৃদয়পটে ভেসে উঠে, E=mc^2 সূত্র এর রহস্য; আনন্দে আত্মহারা মহাবিজ্ঞানি, বিশ্বকে জানাবে বলে; হাতে তুলে নেয় কলম, দেশ-কালের নির্মম পরিহাস! ঠোট দু’টি কেঁপে উঠে, কলমটা পরে পাশে, তারপর......!!!! আমার স্বাধীনতা - গাজী তারেক আজিজ ১. আমার স্বাধীনতা মৃত্তিকার ঘ্রাণে মোর মনে প্রাণে যায় বেড়ে আকুলতা শক্ত করে ধরি হাল লাল সবুজের পাল বাংলায় লিখি গল্প কবিতা এ আমার মাটি এ আমার মা নেই উপমা এইতো আমার স্বাধীনতা। ২. আমার মন (গান) আমার মনের কতো কথা শোনার মানুষ নাই মনের কথা মনে চেপে সারা জনম রই বুকে এখন দারুন ব্যথা করে তোলপাড় তুই বন্ধু চইলা গেলি না লইয়া খবর রে না দিয়া খবর তোরে হারাইয়া আমার মন কান্দেরে প্রাণ কান্দেরে আমার মন কান্দেরে। মা - সবুজ তাপস কর্ণফুলির কিনারে, পথের বাকে-বাকেও গাছেদের কাছে - পাতাপুঞ্জের ফাঁকে-ফাঁকেও কী যেন খুঁজিতেছি আহারে! আমার কে থাকে দূরে, দূরের দুয়ারে? রাত্রে, যখন দেখি খাবার নেই পাত্রে, যখন ময়লামেশা জামা তুলে নেই গাত্রে - ভাবতে থাকি- কী যেন নাই সংসারে! আমার কে থাকে দূরে, দূরের দুয়ারে? ভেতরের আকাশে ছুটতে থাকি দিগ্বিদিক - আমার মা সেরা চিকিৎসক, দার্শনিক জীবন মানে........- সামসুল আলম দোয়েল সময়ের নামই জীবন,জীবন মানেই সময়, সময় মানেই কালক্ষেপন সুখের নাম জীবন;বেদনার নাম জীবন হাসির নাম জীবন,কান্নার নাম জীবন আদর-সোহাগের নাম জীবন স্নেহের নাম জীবন,কষ্টের নাম জীবন প্রেমের নাম জীবন,অবহেলার নাম জীবন ভালোবাসার নাম জীবন,যাতনার নাম জীবন দূ:খের নাম জীবন,সূখের নাম জীবন জীবন মানেই ভাবনা- ভীষণ চাওয়ার নাম জীবন,পাওয়ার নাম জীবন সত্যের নাম জীবন, মিথ্যার নাম জীবন আশার নাম জীবন, হতাশার নাম জীবন জীবন মানেই tenssion..... দুঃখ ও আমি - সৌমেন বর্মন দুঃখ তুমি ছিলে তাই, দুঃখ করছি আজ দুঃখ তুমি ছিলে তাই, ছেড়েছি এ সমাজ। দুঃখ তুমি যে খুবই ভালো, খারাপ নেই কোনও দুঃখ তুমি মানুষকে, সাহায্য কোরও জেনো। দুঃখ তুমি আছ তাই, আমি আছি পৃথিবীতে দুঃখ তুমি আছ তাই, মানুষ পারছে কাঁদিতে। দুঃখ তুমি আছ তাই, মন যে বেঁচে আছে দুঃখ তুমি না থাকলে, যেতাম কাহার কাছে। তুমি যে দুঃখ আমার কাছে, ভগবান সমতুল্য দুঃখ তোমাকে ভালবেসে আমি দিচ্ছি বড়ই মূল্য। সুখের পরেই দুঃখ আসে, একথা সবাই জানে তাই দুঃখ ভালবাসা তে, একথা সবাই মানে। দুঃখ তোমায়, দুঃখ বললে, হয় যে অপমান তুমি আছ তাই, আজও পৃথিবীতে, আছে প্রেমের মান। তুমি না থাকলে সত্যিকারের, প্রেমিকেরা কোথা যেত তুমি না থাকলে, রোমিও-জুলিয়েট, কোন সম্মান কি পেতো...? তুমি যে দুঃখ, তুমিই যে সুখ, তুমিই মনের মতো তাইতো তোমায় ভালোবেসে, করছি যতন এত। দুঃখ তুমি আমাকে যে, দিয়েছিলে সাহারা তুমি না থাকলে, আমি যে ভাই, হতেম সর্বহারা। দুঃখ তুমি বাঁচতে শেখাও, গড়তে শেখাও মোরে তুমি বল, তুমি চলে গেলে, আমি থাকবো কেমন করে। |